রবিবার ০৫ মে ২০২৪
Online Edition

খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্য দিয়ে আমরা  গণতন্ত্রের মুক্তি ফিরিয়ে আনতে চাই  ----=মির্জা ফখরুল

 

স্টাফ রিপোর্টার :  দেশের দুর্নীতি অর্থনীতি ও গণতন্ত্র ধ্বংস এবং খালেদা জিয়ার বন্দী বিএনপির একার সমস্যা নয় মন্তব্য করে দলটির বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে একটা নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। পানি সমস্যার সমাধান হয় না, সীমান্তে হত্যা হয় তার কোনো বিচার হয় না, একটা কথা বলতে পারে না। আমাদের দুর্ভাগ্য, ৬৮ বছর পরে গণতন্ত্রের জন্য চিৎকার করতে হয়।' 

গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

রোহিঙ্গা এবং পানি সমস্যাসহ দেশের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখান থেকে উঠে দাঁড়াতে চাই। আমরা এখান থেকে অতীতে উঠে দাঁড়িয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, বারবার এদেশের মানুষ উঠে দাঁড়িয়েছে। আমি একটা কথা কখনো বিশ্বাস করি না, এই সমস্যা শুধু বিএনপির সমস্যা, তা নয়। এটা গোটা জাতির সমস্যা। সমস্ত জাতি আজকে পরাধীন হয়ে যাচ্ছে, সমস্ত জাতি আজকে তাদের অর্জনগুলো হারাচ্ছে। তাই আমাদের সকলকে উঠে দাঁড়াতে হবে, উঠে দাঁড়াতে হবে, স্বোচ্চার হতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে, রাস্তায় নামতে হবে এবং আমাদের সমস্ত অর্জনগুলো ফিরে আনতে হবে। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্যে দিয়ে আমরা গণতন্ত্রের মুক্তি ফিরে আনতে চাই।

ফখরুল বলেন, ‘যে চেতনার ভিত্তিতে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল সেই চেতনা আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৬৮ বছর পরেও অর্জন করতে পারিনি। সেটাকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই গণতন্ত্রকে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, একটি একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা ও একনায়কতন্ত্র ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন সময় তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করার জন্য সংগ্রাম করেছে। তরুণ সমাজ, ছাত্রসমাজ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য, ৬৮ বছর পরে গণতন্ত্রের জন্য চিৎকার করতে হয়। দুর্ভাগ্য আমাদের, যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, তার রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই ত্যাগের মধ্যে দিয়ে নিয়ে গেছেন। এখনও যে তিনি কারাবরণ করে আছেন, সেটাও গণতন্ত্রের জন্যে। তাকে আজকে অসুস্থ অবস্থায় অন্ধকার কারাগারে পড়ে থাকতে হয়েছে। মনে হয়, এই ৬৮ বছর সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে গেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়নি, আমরা এই ৬৮ বছরে সংগ্রাম করতে করতে আমরা একটা রাষ্ট্র পেয়েছি, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।'

তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ যারা লড়াই করে ভাষা প্রতিষ্ঠা করেছে, একটা স্বাধীন পতাকা নিয়ে এসেছে। তারা পরাজিত হবে বলে বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি, আজকে গণতান্ত্রিক যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সে আন্দোলন দেশনেত্রীর মুক্তির মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবে।'

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে সকল অর্জনগুলোকে নস্যাৎ করে দিয়ে একটি অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে। আজকে অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে পত্রিকা খুললেই দেখবেন, বেসিক ব্যাংকের এমডি ১১০ কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি কিনেছেন। আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিচার হয়, সাজা হয় ২ কোটি টাকার একটা মিথ্যা মামলার জন্য। ১১০কোটি টাকায় বাড়ি বানিয়েছেন, শত শত কোটি টাকা তিনি লুটপাট করে নিয়েছেন, দুদক তাকে দেখতে পায় না। তাকে এখন পর্যন্ত একটি নোটিশও করা হয়নি। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।'

তিনি আরো বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সামাজিক অবস্থা কোন জায়গায় নিয়ে গেছে। আজকের পত্রিকা খুললেই দেখবেন, একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরতে গিয়ে তার বাড়ি থেকে তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে এসেছে। তুলে নিয়ে তাকে থানার মধ্যে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এটা আমরা আগে কখনও শুনতে পাইনি। এখন এই সরকারের আমলে দেখছি। এখন নারীদের কোনো সম্মান নেই, মানুষের কোনো সম্মান নেই। জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। চতুর্দিকে ভয়াবহ একটা ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।'

ফখরুল বলেন, মিয়ানমারের সাথে সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। পানি সমস্যার সমাধান হয় না, সীমান্তে হত্যা হয় কোনো বিচার হয় না, একটা কথা বলতে পারে না। আমরা এখান থেকে উঠে দাড়াতে চাই। আমরা অতীতে উঠে দাড়িয়েছি। এই সমস্যা শুধুমাত্র বিএনপির সমস্যা নয়, এটা গোটা জাতির সমস্যা। সমগ্র জাতি আজকে পরাধিন হয়ে যাচ্ছে, সমগ্র জাতি আজকে অর্জনগুলোকে হারাচ্ছে। তাই আমাদের সকলকে উঠে দাড়াতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। সোচ্চার হতে, রাস্তায় নামতে হবে, সমস্ত অর্জনগুলোকে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, কে ভোট দিলো আর কে দিলো না, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। কতো বড় অন্যায় কথা! এই কথার মাধ্যমে গণতন্ত্র কোথায় গিয়েছে? সেটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে। আর আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই। আমাদের উচিত এর প্রতিবাদ করার। এটা আমাদের ইমানী দায়িত্ব। কিন্তু আমরা পারছি না। আমরা মঞ্চে যারা আছি তারা ব্যর্থ হচ্ছি।

একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যদি ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানি তাহলে বাংলাদেশে আমরা যে সংকটে আছি, সেটা থাকবে না। কারণ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে বিকৃতি করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠি এবং দল নিজেদের কৃতিত্ব নেয়ার জন্য ইতিহাসকে বিকৃতি করছে।

মোশাররফ বলেন, ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশে প্রকৃত উন্নয়ন যদি হতো তাহলে সেটা বিশ্বের অনেক দেশেই হতো। আর সেটা হয়নি বলেই দেশে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। পাকিস্তানের সময় আইয়ুব খান উন্নয়নের নামে নতুন ডেফিনেশন (সংজ্ঞা) দিয়েছিল। কিন্তু সেই উন্নয়ন তার পতন ঠেকাতে পারেনি। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারপ্রধান এটাকে উন্নয়নে রূপান্তর করল।'

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সর্বত্র উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পচন লেগেছে। শিক্ষাঙ্গন, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে। দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রেখে সিন্ডিকেট করছে ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদ করার কেউ নেই।'

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘দেশনেত্রীকে যদি বাঁচাতে হয়, আমাদেরকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ ফিরিয়ে দেবে না। এর আগে, ৭৫ সালে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, এবারও করছে।'

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সরকার ভালো করে জানে, জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই তারা বলতে পারে, কে ভোট দিলো কে ভোট দিলো না তাতে কিছু আসে যায় না। এ কথার মাধ্যমে গণতন্ত্র কোথায় গেছে এটা তাদের চিন্তা করতে হবে।' তিনি বলেন, ‘৪৮ সালের যুবক-ছাত্রদের যদি এতো সাহস থেকে থাকে, আজকে ছাত্র সমাজে সেই সাহস নেই কেনো? আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। এর বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব। কিন্তু আমরা পারছি না। আজকে আমরা যারা মঞ্চে এবং সামনে যারা ছাত্র-যুবক, আমরা প্রত্যেকেই এ বিষয়ে ব্যর্থ হচ্ছি। আমাদের শিক্ষা নিতে হবে সেই সময়ের ছাত্র-যুবক নেতাদের কাছ থেকে। তারা যদি পারে, আমরা পারছি না কেন?'

আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার একই সূত্রে গাঁথা। আমরা জামিনের জন্য আবেদন করেছি, জজ সাহেব বললেন, ‘এটা তো আমরা আগেই দেখেছি, আবার কেন এনেছেন?’ আমরা বললাম, গত দুই মাসে উনার (খালেদা) কতো অবনতি হয়েছে সেটা আপনাদের জানা দরকার। এখন তার অবস্থা অনেক খারাপ। এর আগে জামিন দেননি আমরা এখন নতুন গ্রাউন্ড নিয়ে এসেছি। আমরা শুনানি করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমার রায় তো সুপ্রিম কোর্ট বহাল রেখেছে। আমরা বললাম, আপনি আমাদের কথাটা শোনেন, এখানে নতুন গ্রাউন্ড পাবেন। মানবিক কারণে তাকে যদি জামিন দেন। মওদুদ বলেন, আমি এখনও আশা করি, সুপ্রিম কোর্ট নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবেন। আর যদি না দেন আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই আমাদের কাছে। তখন আমাদের বাধ্য করা হবে একটা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে। 

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাস রচনা করেন ইতিহাসবিদরা কিন্তু বাংলাদেশের স্বৈরাচারী ইতিহাস, ১-১১’র প্রেক্ষাপটের ইতিহাস রচনার দায়িত্ব নিয়েছে কিছু রাজনীতিবিদ। রাষ্ট্রভাষার ইতিহাস তারা করেছেন, স্বৈরাচার বিরোধী ইতিহাসে তারা করেছেন। তারা তাদের নিজস্ব ইতিহাস তুলে ধরেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এই দেশে যারা এখন ক্ষমতায় বসেছে তারা নিজস্ব ইতিহাস লিখছে। এই ইতিহাস কোনদিনও টিকে থাকতে পারবে না। এর আগেও অনেকেই চেষ্টা করেছিল। কিন্তু টিকে থাকতে পারে নাই। এই ইতিহাসও টিকবে না। সত্যিকারের ইতিহাস লিখবে ইতিহাসবিদরা আগামী দিনে।’ 

তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষায় মর্যাদা পেয়েছে এটা আমাদের গর্বের বিষয়। সমস্ত বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। যাদের রক্তের বিনিময়ে আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদেরকে সারা জীবন আমাদেরকে মনে রাখতে হবে। কিন্তু যখন একটি ভাষা আন্তর্জাতিক মর্যাদা পায় তখন আমাদেরকে ভাবতে হবে। বিশ্ববাসীকে ভাবতে হবে। এর পিছনে কারা, কোন জাতি?’

খসরু বলেন, ‘যে জাতি ভাষার আন্দোলন করে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা রূপান্তরিত করেছে, সেই দেশে কি গণতন্ত্র আছে? মানুষের অধিকার আছে? সুতরাং বাংলা ভাষা যখন আন্তর্জাতিক ভাষায় রূপ নিয়েছে তখন বিশ্ববাসীর মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে- এই দেশে গণতন্ত্র আছে? মানবাধিকার আছে? মানুষের অধিকার আছে? আইনের শাসন আছে? তারা কি মুক্তবাগে তাদের কথাগুলো বলতে পারছে? এগুলো কিন্তু আন্তর্জাতিক মানদ-। ভাষা যেমন আন্তর্জাতিক মানদ-, এগুলোও কিন্তু আন্তর্জাতিক মানদ-। এই মানদ- যদি না থাকে শুধু বাংলা ভাষা দিয়ে বাঙালিদের মুখ উজ্জ্বল করা সম্ভব নয়।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের সত্যের মুখোমুখি হতে হবে। এই সত্যিটা হচ্ছে, স্বৈরতান্ত্রিক বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রের বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে হলে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সালাম দিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভাষা আন্দোলন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন গণতন্ত্রের আন্দোলনের একটি অংশ। ভাষা আন্দোলন অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ৬২-তে ছাত্র আন্দোলন, ৬৯ এ গণঅভ্যুত্থান ও ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ- এই সিঁড়ি পেরিয়ে দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা কারার জন্যে, মানুষের স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে, নানা পর্যায়ে নানা আন্দোলন হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি।

দুদু বলেন, অনেকেই বলছে বেগম খালেদা জিয়াকে যেকোনো উপায়ে জেল থেকে বের করে আনতে হবে। যেকোনো উপায় আনার বিষয়ে আমি দ্বিমত পোষণ করি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অর্জিত গৌরবকে ধূলিসাৎ করি সেটা আমাদের জন্য লজ্জার । সে ক্ষেত্রে জ্বলে ওঠা ছাড়া, আন্দোলন করা ছাড়া, লড়াই করা ছাড়া, রুখে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ আছে বলে আমার জানা নেই।

এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মহিলা দল সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারাণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ